লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চেতনানশক মেশানোর খাবার খেয়ে জ্ঞান হানানোর পর ঘর থেকে টাকা-সোনার গহনা-ফ্রিজের মাছ-মাংস চুরির অভিযোগ এসেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের শিশু-নারীসহ ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরপাগলা গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান।
অসুস্থরা হলেন বকুল বেগম, তার ছেলে মাকসুদ আলম, মেয়ে জোসনা আক্তার, নাতি আফরাজ, নাতনি জান্নাতসহ ছয়জন।
বকুল বেগমের ভাগ্নে আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাকে দেখতে বকুল বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যান। তার ছেলে মাকসুদও দুপুরে বাজারে ছিলেন। সেদিন তাদের জন্য দুপুরের রান্না করেন প্রতিবেশি এক নারী। তারা বাড়ি ফিরে বেলা ৩টার দিকে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাবার খান।
এরপর থেকেই তাদের সাড়া-শব্দ ছিল না। আশপাশের মানুষ প্রথমে ভেবেছিল, বাড়িতে কেউ নেই। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। পরে তারা বাড়িতে ঢুকে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
“খাবারের সঙ্গে চেতনানশক ওষুধ খাইয়ে ঘরে থাকা সোনার গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। মাকছুদ শিগগিরই বিদেশ যাবেন। এ জন্য ঘরে টাকা রাখা ছিল, ওই টাকাও নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। যাওয়ার সময় ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে,” বলেন আল আমিন।
তিনি বলেন, “দুপুরে মামি ও মাকসুদ বাড়িতে ছিলেন না। তাদের পরিবারের সদস্য জোসনা বাড়িতে থাকলেও অসুস্থ ছিলেন। ফলে এক প্রতিবেশি নারীকে দিয়ে রান্না করানো হয়। ওই খাবার খেয়েই সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এখন মামি একটু সুস্থ হলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। এতে মূল ঘটনাটি এখনো জানা সম্ভব হচ্ছে না।“
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মীর মো. আমিনুল ইসলামকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মঙ্গলবার রাতে একই উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ফলকন গ্রামে শাহজাহান মির্দার বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষধ মিশিয়ে ৩ পরিবারের ১২ জনকে অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে।
0 Comments